চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ধান কাটার শ্রমিক সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। যদিও কিছু সংখ্যক শ্রমিক পাওয়া গেলেও তাদেরকে দ্বিগুন পরিমাণ মজুরি দিতে হচ্ছে। এতে করে দরিদ্র কৃষকরা বেশ সমস্যায় পড়ছেন।
এই সংকটের সময়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অতুল সরকার স্বশরীরে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের বাইপাস সড়কের পাশে কৃষক রফিকুল ইসলামের ১০ কাঠা জমির ধান কেটে দেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকারসহ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সাড়ে ১১ লাখ টন চাল ও সাড়ে ৬ লাখ টন ধান কিনবে সরকার
অতুল সরকার বলেন, করোনাকালীন সময়ে দরিদ্র কৃষকেরা শ্রমিক সংকটে তাদের জমির ফসল ঘরে তুলতে পারছে না। এই সংকটকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দরিদ্র কৃষকের জমির ধান কেটে দেয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদনে ফরিদপুর পিছিয়ে নেই। আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য কৃষকদের ভালোবাসার অংশ হিসেবে আমরা যে তাদের সুখ-দুঃখে সব সময় তাদের সাথে রয়েছি সেটাকে তুলে ধরার জন্য তাদের সাথে মিলিত হয়েছি এবং কিছু পরিমাণ প্রতীকী ধান কাটা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষকের ধান কেটে দিল নওগাঁর যুবলীগ নেতা-কর্মীরা
জেলা প্রশাসক বলেন, শহরের বাইপাস সড়কের পাশে দরিদ্র কৃষক রফিকুল ইসলামের ১০ কাঠা জমির ধান কেটে দেয়া হয়েছে। দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে দেয়া কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ সময় জেলা প্রশাসকের সাথে ধান কাটায় অংশ নেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড.হযরত আলী, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল বাশার সহ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: হাওরে ৯৯ ও সারা দেশে ৩৯ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
আরও পড়ুন: হাওরে ধান কাটার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী